ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন না পাওয়া, আওয়ামী লীগের মাঠের কর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং সংরক্ষিত নারী আসনে নায়িকাদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নিয়ে সোমবার বাংলাদেশ টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবিনা আক্তার তুহিন।
তিনি বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি আর শেখ হাসিনা আপাকে ভালোবাসি। তবে এখন তো আওয়ামী লীগে হাইব্রিডদের দিয়ে নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে। যারা এক সময় বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদেরকেও আওয়ামী লীগে নেয়া হচ্ছে।
‘অথচ যারা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে সারা জীবন রাজনীতি করেছেন, তাদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই আমি আর নেতৃত্ব দিতে চাই না। আমি কর্মী হয়েই থাকতে চাই।'
আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি আরও বলেন, নায়ক-নায়িকাদের এতো ভিড়ে আমাদের আর দেখা পাওয়া কঠিন। আন্দোলন সংগ্রামে রোদে পোড়া শরীর এখন নায়িকাদের রূপে বিলীন। ক্ষমতায় থাকতে যত নায়িকাকে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলে থাকতে তাদের তো দেখি নাই।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, মেয়ে হওয়ায় পুরুষের চাইতে বেশি কাজ করলেও সাধারণ আসনে নমিনেশন দেয়া যাবে না। আমি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন চেয়েছিলাম। কিন্তু তাও দেয়া হয়নি।
সরকারি দলের চাইতে তো বিরোধী দল থাকাকালীন ভালো ছিলাম উল্লেখ মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরও বলেন, তখন নিজেদের দল নিজেদের ছিল। এখন মহাবিপদ। আমাদের দল ছিনতাই করছে বিএনপি থেকে আমদানি করা নায়িকারা। যারা বিএনপির রাজনীতি করেছেন, তারাও নমিনেশন ফরম কিনেছেন। এরকম কয়েকজন নায়িকাকেও আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ টাইমসকে সাবিনা আক্তার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলাম। রাজনীতির মাঠ কোনো অভিনয়ের মঞ্চ না। এটা বাস্তবভিত্তিক সংগ্রামের জায়গা। তাদের শুধু অভিনয়ের মঞ্চেই মানায়, রাজনীতির মাঠে নয়।
রাজনীতিতে নায়ক নায়িকাদের আসতে চাওয়াটা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টাইমস/টিআর/এইচইউ/এক্স