নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে শুক্রবার একটি মসজিদে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। আল নুর নামের ওই মসজিদটি ডিন এভিনিউতে অবস্থিত এবং হ্যাগলি পার্কের মুখোমুখি।
এই হ্যাগলি পার্কেই অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানেই বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দলের টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটাররাও হামলার কথা লিখেছেন।
ওই ঘটনায় সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন। তিনি লিখেছেন, "ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় আল্লাহ আজ আমাদের রক্ষা করেছেন...আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।"
‘ভীতিকর অভিজ্ঞতা’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তামিম ইকবাল। তিনি পুরো দলের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন "পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।"
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে তারা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল।
তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,"তারা নিরাপদে আছে, কিন্তু মানসিকভাবে তারা হতবাক। আমরা তাদেরকে হোটেল থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।"
জানা গেছে, হামলার সময় লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবাই মাঠে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা ওই মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যান। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজন তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের জানান- এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। খেলোয়াড়েরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডট কো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে নামাজ শুরুর ঠিক দশ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সেজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এরপর জানালার কাচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। হামলাকারীর হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল।
টাইমস/জিএস