বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, জার্মানির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তার সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী (এসএসএন) কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
এসময় সরকার ভবিষ্যতে এসএসএন কর্মসূচি আরও জোরদার করবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতের মধ্যে যোগাযোগ খাতে সহযোগিতার বিষয়েও কথা হয়েছে। এছাড়া জার্মানির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তার সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মানির বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কিছু দেশকে ইতিমধ্যে শিল্প স্থাপনের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূতকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের একটি বার্তা পৌঁছে দেন, যেখানে জার্মান চ্যান্সেলর প্রধানমন্ত্রীর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্য কামনা করেন।
বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আপনার দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমি এ দেশের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
চ্যান্সেলর আরও বলেন, অংশীদারত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পড়েছেন। এই ইশতেহার বাস্তবায়নে তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শিগগির দুটি জার্মান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে। বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের এবং হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ আরও বলেন, অনেক জার্মান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। জার্মানিতে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, তিনি তিন দিনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন স্তরের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
টাইমস/এক্স